Top 5 tips আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব – ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব

আপনি হয়তোবা ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে কিছুটা জানেন তাই আজকে গুগল থেকে আমাদেরকে খুঁজে পেয়েছেন। যাইহোক, আমরা আজকে আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব রিলেটেড খুব ভালোভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয় আলোচনা করার করে বোঝানোর চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে একটা বড় পার্থক্য আছে যা সর্বপ্রথম বিষয়টা ভালোভাবে জানুন।

আপনি যদি আউটসোর্সিং সম্পর্কে আরো ভালো জানতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য সেরা হবে. আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব.

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের আভিধানিক অর্থ মুক্ত পেশা। অর্থাৎ আমরা যারা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল জব করে অর্থ উপার্জন করে তাকে মূলত ফ্রিল্যান্সিং বলে.

ফ্রিল্যান্সিং কাজ মূলত অনলাইন ভিত্তিক হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ফরেনার দের সাথে কাজ করা হয়. উদাহরণস্বরূপ: আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড ইত্যাদি ইউরোপের দেশগুলোর সাথে কাজ হয়.

এবার উদাহরণস্বরূপ বলি, আপনি যদি যেকোনো ডিজিটাল কাজ জেনে থাকেন যেমন: গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন & ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ঘরে বসেই ইউরোপের যে কোন দেশে কাজ করে দিতে পারবেন।

আউটসোর্সিং কি – আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব?

আউটসোর্সিং মূলত, আপনি যেকোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কাজ নিয়ে আপনি নিজে না করে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিলেন বিনিময় তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে কিছু অর্থ সেভ করতে পারলেন, এই প্রক্রিয়াকেই মলূত আউটসোর্সিং বলে.

অবশ্যই এটিকে ফ্রিল্যান্সিং বলে না. ফ্রিল্যান্সিং করলো সেই ব্যক্তি যে ব্যক্তি কাজটি সমাধান করলো। আর মাধ্যম হিসেবে যে ব্যক্তি কাজ করলো সে আউটসোর্সিং করল. আর কাজটি যে ব্যক্তি দিল সে ব্যক্তি Buyer হলো.

সরাসরি বায়ারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নিজে সমাধান করলে সেটি ফ্রিল্যান্সিং করা হয়. আর যদি সে কাজটি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে আপনার বায়ারের কে জমা দিলেন, সেটি আউটসোর্সিং করা হলো. আশাকরি, ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব

খুবই কমন এবং ইম্পর্ট্যান্ট প্রশ্ন। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ: কারণ প্রত্যেকটা মানুষেরই কিছু না কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কমন issa / স্বপ্ন থাকে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য কেউ অনেক কষ্ট করে আবার কেউ অল্পতেই হয়ে যায়। ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে কিছু বিষয় আপনার উপরে নির্ভর করবে , যা আপনার ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষাকে ১৫% কমপ্লিট হয়ে যাবে।

যেমন আপনি যদি কম্পিউটার ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ১৫ শতাংশ কমপ্লিট হয়ে যাবে। কারণ বিগত চার বছর হয়তো আপনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করছেন অথবা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করছেন, সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে খুব সহজেই আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং start করতে পারবেন।

আর আপনি মানুষ, সবথেকে বড় পরিচয়। তাই অবশ্যই আপনিও নন-কম্পিউটার ব্যাকগ্রাউন্ডের হলেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কারণ মানুষ পারেনা এমন কোন কাজ নাই. তবে হ্যাঁ অবশ্যই কিছু দক্ষতা এবং যন্ত্রপাতি থাকতে হবে. তাছাড়া আপনি কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না.

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ এবং সাবজেক্ট সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিতে হবে. তাছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ মূলত সম্পূর্ণই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে থাকে। এগুলোকে ডিজিটাল জব বলা হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সাবজেক্ট পছন্দ করতে হবে.

আমরা যেমন অনার্স ভর্তি হওয়ার জন্য সাবজেক্ট পছন্দ করি, ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে সাবজেক্ট পছন্দ করতে হবে. আর এই সাবজেক্ট পছন্দ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে. আপনার নিজের যে কাজটি সবথেকে ভালো মনে হয় এবং করতে ভালো লাগে সেই কাজটির ওপরেই আপনি ডিজিটাল জবের ওপর দক্ষতা অর্জন করবেন।

যেমন:
১.ওয়েব ডিজাইন & ডেভেলপমেন্ট
২. গ্রাফিক ডিজাইন
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং

এই তিনটি প্রাইমারি লেভেলের সাবজেক্ট এর ভিতর Sub-ক্যাটেগরি হিসাবে আছে। প্রাইমারি সাবজেক্ট গুলা শেখা শুরু করলে ছোট ছোট কাজগুলি অটোমেটিকলি শেখা হয়ে যাবে।

আমি আপনাকে অবশ্যই অনুরোধ করবো (ফ্রিল্যান্সিং / আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব) শুরু করার আগে আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ভিডিওগুলো দেখে আসবেন। আশা করি, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে প্রস্তুতি এই ব্লগ থেকে এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনেক ভাল কিছু জানতে এবং শিখতে পারবেন। এবং আমার ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসবেন।

Youtube Video: Freelancing tutorial for Beginners 
Website Rubel Hossain99

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে

আমি ধরে নিলাম আপনি যেকোনো একটি সাবজেক্টের উপর কাজ শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলেছেন এখন আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব.

আপনার হয়তো জানেন কোন কিছু মাধ্যম ছাড়া করা সম্ভব না. ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই মাধ্যমের প্রয়োজন হয়. আর সেই মাধ্যমগুলো অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমেই আপনি ইনকাম করে টাকা বাংলাদেশে আনতে পারবেন।


“আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব” মার্কেটপ্লেস নাম:
১. fiverr.com
২. upwork.com
৩. freelancer.com
৪. Peopleperhour.com
৫. fivesquid.com

উদাহরণস্বরূপ আমরা যদি গরু বিক্রি করতে চাই তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি হাটে অথবা বাজারে গিয়ে গরু ক্রয় করতে হয়. তা ছাড়া সম্ভব হয়না। এক ব্যক্তি গরু বিক্রি করতে আসে, আর অন্য ব্যক্তি গরু ক্রয় করতে আসে. বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হাট-বাজারে সেই বাজার থেকে আপনি যখন গরু ক্রয় করে আনবেন বাজার কর্তৃপক্ষের কিছু টাকা দিয়ে আসতে হয়.

ঠিক তেমনি এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি কাজ করতে যাবেন অন্য একজন কাজ করিয়ে নিতে আসবে বিনিময় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিছু টাকা ভ্যাট দিতে হবে.

আপনাদের দুজনের মাঝে যে যোগাযোগ ওই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে করে দিবে। আপনার এবং buyer যে সিকিউরিটি সেটি ওই ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস দিয়ে থাকে। বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়।

বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেস 100 ডলারে 20 ডলার অর্থাৎ ২০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়. মার্কেটপ্লেসে মাধ্যমে সর্বপ্রথম আপনাকে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে সেই প্রোফাইলের মধ্যে আপনার দক্ষতাকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে. যার মাধ্যমে আপনার কাজ পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ বেড়ে যাবে।

এভাবে আমাদের বাংলাদেশেও অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে যার. মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে বিদেশিদের কাজ বাংলাদেশ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি ল্যাঙ্গুয়েজ জব করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আর এই সকল তথ্য দিতে bestreview.com.bd আপনার পাশে থাকতে সবসময়.

আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব
আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য যা যা প্রয়োজন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য যে বিষয়গুলো এবং যা প্রয়োজন, নিচে সেই বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো. মনোযোগ সহকারে দেখুন:

  • কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন
  • কাজের দক্ষতা (যে কাজটা আপনি সবথেকে ভালো পারবেন)
  • ইংলিশে কমিউনিকেশন করার দক্ষতা
  • গুগোল এবং ইউটিউব রিসার্চ করার দক্ষতা
  • যেকোনো বড় ভাই অথবা মেন্টরের শরণাপন্ন
  • কাজ করার মানসিকতা এবং পরিবেশ
  • বাংলাদেশ ব্যাংক একাউন্ট, বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য।

ইত্যাদি তাই “আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব” এই বিষয়গুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ. আপনি যদি পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারেন আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি অবশ্যই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আমি যেমন করতেছি এবং বাংলাদেশের হাজারো যুবক অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতেছে। আশাকরি লেগে থাকেন আপনিও একদিন খুব ভাল একটা পজিশন এ যেতে পারবেন।

আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবো লেখাটি শেষ করার আগে একটি বিষয় সর্বক্ষণে মনে রাখবেন, সবথেকে যে বিষয়টি আপনার মধ্যে থাকতে হবে. সেটি ধৈর্য্য, সহ্য, এবং সততা।

আপনি যদি এই তিনটা বিষয় মানসিকভাবে না তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনি কখনোই অনলাইন থেকে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন না. এটি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। কারণ আমি বিগত পাঁচ+ (২০১৭) অনলাইনে ইনকাম করছি। তাই ধৈর্য আপনার জন্য খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার ভিতর ধৈর্য্য না থাকলে কখনোই আপনি অনলাইনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না.

তাই অবশ্যই প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের প্রতি ভরসা রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান, আশা করি আপনি ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। আপনার জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।

লেখকঃ মোঃ রুবেল হোসেন (Web Designer and Developer) (লেখার ভিতর ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন)

seo expert in jhenaidah
seo expert in jhenaidah

error: Content is protected !!