Top 5 গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

অবশ্যই আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে এই ইমারজেন্সি পিল দরকার, তবে আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না এই ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম এবং কোন সময় করা উচিত এবং সত্যিই খাওয়া উচিত কিনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এ ব্লকের মধ্যে সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে, ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।

এই ব্লগটি প্রফেসর ডাঃ সেলিনা আক্তার মাধ্যমে প্রত্যেকটি বিষয়ে সুন্দরভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। উনি গাইনোকলজিষ্ট, বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ এবং ল্যাপারস্কপিক সার্জন অভিজ্ঞ।

এই ইমারজেন্সি পিল মূলত তাদের প্রয়োজন হয়, যারা ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে মেলামেশা করার ফলে সন্তান প্রতিরোধের প্রয়োজন হয়. অথবা আপনাদের অবৈধ মেলামেশার কারণে গর্ভের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা এবং হতে পারে আপনার স্বামী স্ত্রী মেলামেশার ফলে কনডম সিদ্র অথবা ছিড়ে যাওয়ার ফলে বাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ইত্যাদি কারণে এই ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

তবে সঠিক নিয়মে যদি ইমারজেন্সি পিল সঠিক সময় না খেতে পারেন তাহলে হয়তো কোন কাজে আসবে না, এজন্য সঠিক তথ্যটি আপনার জানাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

গর্ভধারণ রোধ করতে সবার কাছে ইমারজেন্সি পিল অত্যন্ত জনপ্রিয়, চলুন আমরা জেনে নেই ইমারজেন্সি পিল টা আসলে কি?

ইমার্জেন্সি পিল মূলত এক ধরনের হরমোন। প্রত্যেকটি মহিলার শরীরে এই হরমোন থাকে, যেটি নাম হচ্ছে প্রোজেস্টেরন হরমোন তৈরি ইমারজেন্সি পিল. কেউ যখন খাবে তখন তার অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করবে।

এখন আসুন আমরা জেনে নেই, ইমারজেন্সি পিল কত প্রকার। বাজারে বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন ব্যান্ডের ইমারজেন্সি পিল থাকলেও সবগুলোকে সাধারণত ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

** তার মধ্যে এক ধরনের পিল রয়েছে যেগুলো 72 ঘন্টা আবার তিন দিন পর্যন্ত কার্যকরী।

** আরেক ধরনের পিল রয়েছে যেগুলো সাধারণত 120 ঘন্টা – পঞ্চম দিন পর্যন্ত কার্যকরী এবং

তিন দিন বা 72 ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকরী পিল রয়েছে, সেটি হচ্ছে লিভোনরজেস্ট্রিল। সেটি অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের পর থেকে শুরু করে 72 ঘণ্টার মধ্যে যদি কেউ গর্ভধারণ এড়াতে চায়, তাহলে এই পিল খেতে হবে.

আর যদি ৩ দিন সময় পার হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তার জন্য সুযোগ থাকবে পঞ্চম দিন পর্যন্ত কার্যকরী সেটি, যেটা হচ্ছে ইউলিপ্রিস্টল এসিটেট।

আসুন জেনে নেই, এই পিলটা আপনার নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে সহজেই পেয়ে যাবেন এরপর যত দ্রুত সম্ভব এই তিনটা পিলের মধ্যে যে কোন একটা খেতে হবে, তাহলেই আপনার অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের পর থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পিলটা খেলে কাজ করবে। তবে যত দ্রুত খাবে তত দ্রুত এটা কাজ করবে এবং গর্ভধারণের।

অনেকে হয়তোবা ভাবেন প্রতিনিয়ত জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ (অর্থাৎ যেটাকে আমরা বলি মায়া বড়ি) এগুলা খেলে হয়তো আপনি মোটা হয়ে যাবেন, কিন্তু এটা হয়তো আপনার ভুল ধারণা। আপনি যদি প্রতিনিয়ত ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার অনেক সমস্যা হতে পারে, কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি যে ধরনের হরমোন থাকে তার থেকে অধিক পরিমাণ হরমোন এই ইমার্জেন্সি পিলের মধ্যে থাকে।

তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারছেন মায়া বড়ি থেকে অধিক পরিমাণ হরমোন এই ইমারজেন্সি পিল এর মধ্যে। যারা বৈধ রেগুলার দম্পতি আছেন তাদের ক্ষেত্রে নিঃসন্দে ইমারজেন্সি পিল বর্জন করতে হবে এবং মায়া বড়ি অর্থাৎ জন্মনিয়ন্ত্রণ ফেমিকন ইত্যাদি যে সমস্ত ঔষধ আছে ওইগুলো সেবন করা উচিত।

নিয়মিত ইমার্জেন্সি পিল সেবন করলে মহিলাদের মাসিক সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ইমার্জেন্সি পিলের অতিরিক্ত হরমোনের ফলে মহিলাদের মাসিকের অনিয়মিত দেখা দেয় যার, ফলে মেয়েদের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এজন্য হয়তো আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন অথবা শরীরের হরমোন বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন প্রকার রোগ আছে সেগুলো হতে পারে। তাই কখনোই নিয়মিত ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া উচিত নয়.

হরমোন রিলেটেড যে সমস্যা হতে পারে, যেমন: বমি বমি ভাব হওয়া, খাবার-দাবারে কোন ধরনের স্বাদ না পাওয়া, মাসেল Pain হওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

আপনি যদি পড়ালেখা করে খুব সহজে মনে রাখতে চান, তাহলে আপনার কি করা উচিত। নিচের ব্লকের মধ্যে দেওয়া আছে, আশাকরি অনেক তথ্য জানতে পারবেন। পড়া মনে রাখার উপায়.

ইমারজেন্সি পিল কাদের জন্য উচিত নয়

কিছু ব্যক্তিদের জন্য ইমার্জেন্সি পিল হয়তো অনেক বিপদজনক হতে পারে। যাদের শরীরে হরমোনজনিত বড় ধরনের সমস্যা, যেমন: ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্লাড প্রেসার, জরায়ু ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি রোগীদের ক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পিল বর্জনীয়। তাই ইমার্জেন্সি পিল খাবার আগে অবশ্যই আপনি সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো সেবন করা উচিত।

একটা মেয়ের রেগুলার মাসিক হলে আমরা সাধারণত ওই মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের দশ তম দিন হতে 20 তম দিন পর্যন্ত ডেঞ্জার সময় বলা হয়. এর ভিতর যদি মিলামিশা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পিল খেতে পারেন, তবে কখনোই এগুলা দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করা উচিত নয়.

ইমারজেন্সি পিল ইমারজেন্সি প্রয়োজনে কখনো এগুলো রেগুলার করা উচিত নয়. এই বিষয়টা সর্বক্ষণে আপনারা মনে রাখবেন।

ইমারজেন্সি পিল বছরে কয়বার খাওয়া উচিত

ইমারজেন্সি পিল খাওয়া একদম উচিত নয়, তারপরেও ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে যদি খেয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে বছরে 2 থেকে 3 বার সেবন করা উচিত এর বেশি কখনই উচিত নয়. সবথেকে ভালো হবে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে নির্দিষ্ট একটা জন্মনিয়ন্ত্রণ প্ল্যানিং তৈরি করা, অবশ্যই সেগুলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে। তাহলেই আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হবে.

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরেও যদি সমস্যা হয়

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরেও যদি আপনার মাসিক রেগুলার না হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার প্রেগনেন্সি রিপোর্ট জানা দরকার। এজন্য আপনি নিকটস্থ ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং আপনার প্রেগনেন্সি রিপোর্ট চেক করবেন।

তাহলে সহজেই আপনি প্রেগনেন্সি সম্পর্কে ভালো কিছু জানতে পারবেন। আর ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরেও যদি প্রেগনেন্সি হয়ে যান, সে ক্ষেত্রে হয়তোবা অনেকে ভাবে বাচ্চা সমস্যা হতে পারে কিন্তু কোন ধরনের সমস্যা হবে না, আপনি চাইলেও সে বাচ্চা রাখতে পারেন। এই ধরনের ওষুধের গর্ভে বাচ্চার উপরে কোন ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই.

error: Content is protected !!